‘আশারাম দিনে একাধিক কিশোরীকে ফুসলিয়ে শয্যাসঙ্গী করতেন’
ঢাকা: পুলিশ
হেফাজতে যাওয়ার পর আশারামের যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে একের পর এক ঘটনা প্রকাশ
হতে শুরু করেছে। সর্বশেষ রিপোর্টে দেখা যায়, স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপু
দৈনিক একাধিক কিশোরীকে ফুসলিয়ে তার শয্যাসঙ্গী করতেন।
এই
এসব যৌনকর্ম তিনি অবলীলায় করে যেতেন তার আশ্রমে। কিশোরীদের সঙ্গে তার এই
শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা ফাঁস করে দিয়েছেন তারই বিশেষ এক সহকারী।
তিনি বলেছেন, যৌন সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আশারাম নিয়মিত হারবাল ঔষধ সেবন
করতেন ।
আশারাম বাপুর সাবেক সহযোগী রাহুল শর্মা গুজরাটের অনলাইন নিউজ ‘দিবাভাস্কর’কে দেয়া সাক্ষতকারে এসব ফাঁস করে দেন।
রাহুল বলেছেন, ‘আশারাম সাধারণত কম বয়সী নারীদের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক গড়তেন। শারীরিক সম্পর্ক তৈরির আগে তিনি নারীদের কথার জালে মন্ত্রমুগ্ধ করে নিতেন।’
আশারামের এই সহযোগী একাধিকবার রাতে তাকে ‘কামসূত্র’ বইটি পড়তে দেখেছেন বলেও জানান।
আশারামের এই বিশ্বস্ত সহযোগী রাহুল, তার গুরুর কাছে কামসূত্র বইটি পড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে, বাপু বলেন, ‘আয়ুর্বেদিক জ্ঞান অর্জনের জন্যে কামসূত্র পড়তে হয়’।
আহমেদাবাদে আশারামের ‘শান্তি কুঠির’ নামে একটি ব্যক্তিগত বাংলো রয়েছে। সেই বাংলো লাগোয়া সুইমিং পুলে আশারাম শুধুমাত্র নারীভক্তদের নিয়েই সাঁতার কাটতেন।
রাহুল আশারামের বিশেষ স্নেহভাজন হওয়ার সুবাদে রাতে ধর্মগুরুর খাবার ও ঔষধ নিয়ে বাংলোর ভেতরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন। রাহুল ছাড়া আর কারো পক্ষেই আশারামের সেই কক্ষে যাওয়ার অনুমতি ছিলো না।
১৯৯৩ সালে একদিন রাহুল দেখেন, আশারাম তার এক নারী ভক্তকে নিয়ে সুইমিং পুলের পাশ দিয়ে হাঁটছেন এবং মাঝে মধ্যেই আশারাম ঐ নারী ভক্তের হাঁটুতে চুম্বন করছিলেন। এই দৃশ্যের পরে রাহুল আর সেখানে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন। সেদিনই রাহুল নিশ্চিত হন যে আশারাম আসলে কোনো ধর্মগুরু নয়
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন